ইন্টারনেটের ৫টি ব্যবহার-বর্তমান সময়ে মানব জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা সকলের জনপ্রিয় পরিচিত। বর্তমান যুগে এটি মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ। বন্ধুরা যারা মনে করছেন যে মোবাইল ফোন সম্পর্কে আর কিছু নতুন জানার মত নেই তারা ভুল। কারণ প্রযুক্তির এই অর্জনের দুনিয়ায় নিয়ে আজীবন কথা বলা যেতে পারে।

বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোনের প্রয়োগ দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর উপকারিতা ও অপকারিতা সোজা হাতে নেয়া যায় না, কারণ এতে উভয় দিক রয়েছে। তাই বর্তমান যুগে মানব জীবনে মোবাইল ফোনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করার সুযোগ রয়েছে। এতে আমরা মোবাইল ফোনের লাভ হোক এবং অপকারিতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। সাথে আমরা ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে অধিক জ্ঞান অর্জন করব।

পেজ সূচিপত্র :

ভূমিকা

মোবাইল ফোন সকলের হাতে পৌঁছে গিয়েছে এবং এর ব্যবহার ও প্রসের নিরলস হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে মানুষের জীবন আন্তরিকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন ইনকামের উপায় সৃষ্টি হয়েছে, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও এর ব্যাপক ভূমিকা দেখা দেওয়া চলছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহারের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া এখন খুব সহজ। 

মোবাইল ফোন নানাভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেমন যোগাযোগ, ছবি তোলা, এডিট করা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ব্যাংকিং কাজ এবং অনেক কিছু। তবে সুবিধার সঙ্গে কিছু অসুবিধাও রেখে গিয়েছে। মানব জীবনে মোবাইল ফোনের লাভ ও हानि সম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা এবং বাংলাদেশে মোবাইলের দাম হলে কত যা কম কি বেশি, সে সম্পর্কে আমরা এখন কিছু কিছই জানতে পারি।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা

মোবাইল ফোনের ব্যবহার ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে বিশেষ করে পড়ার ক্ষেত্রে অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে। বর্তমান যুগে ছাত্র-ছাত্রীর পড়ালেখার সাথে সাথে অন্যান্য ক্ষেত্রেও মোবাইলের ব্যবহার অনেক বেড়ে উঠেছে। এই মোবাইল ফোন মানুষের জীবনে অবশ্যই দ্যাপিক পরিবর্তন সহকারে আসেই। যদিও মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় রয়েছে, তবে আজকে আমরা এই পরিবর্তনকারী উপকারিতা নিয়ে মতবিনিময় করব।

মোবাইল ফোনের অবদান ছাত্র জীবনে অপরিহার্য। পড়ালেখার সাথে সাথে জ্ঞান সংগ্রহের জন্য যথেষ্ট সাহায্যে মোবাইল হয়ে উঠেছে বর্তমানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজ ও সর্বব্যাপী হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার এবং অন্যান্য অনলাइন প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচুর তথ্য সংগ্রহে মোবাইল দ্বারা সহায়তা প্রাপ্ত হয়। তাই মোবাইল ফোন ও এর বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনকে ছাত্র জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হয়।



মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা

মোবাইল ফোনের ব্যবহারে অনেক প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, তার সাথে বিবৃতি অনেক অপকারিতা ও অংশাক্ষরে আছে। যেকোনো বিষয়ের উপর হুঁশের মুকুট পোহাটা নিয়ে, যে তার ভালো এবং মন্দ দুটোই থাকতে পারে, তা অবশ্যই স্বাভাবিক কথা। তুলনামূলক দৃশ্তিকোণ হিসেবে মোবাইল ফোনের ইতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে প্রথমেই জেনে নেওয়া উচিত।

উপকারিতা 

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা স্বাভাবিক ব্যাপার। গুগল সার্চ করে হাজারখানেক অজানা তথ্য সহজেই পেতে পারি। যোগাযোগের জন্য মোবাইল ব্যবহার হয়ে থাকে। মোবাইলের মাধ্যমে এক দেশ হইতে অন্য দেশের বা দূরস্থ ব্যক্তির নিবিড় বিষয়বস্তু জানা যায়, যেমন কেমন আছেন, কোথায় আছেন ইত্যাদি। অনলাইন ব্যবসা বর্তমানে অনেক প্রসারিত হওয়ার কারণে মোবাইল ব্যবহার করে ই-কমার্স বা অনলাইন বিজনেস পরিচালিত হয়ে থাকে। ফেসবুক পেজে, অ্যাপস বা অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হয়ে আসে। ব্যাংকিং সেবাগুলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজে পেতে পারি। ব্যাংকে টাকা জমা, টাকা উত্তোলন, বিভিন্ন বিল প্রদান এবং কিছু ক্ষেত্রে ঋণের কিস্তি প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হয়ে উঠেছে।

অপকারিতা

প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা গেম খেলতে ভালোবাসে। তারা এই গেম খেলতে যে সময় দিয়ে যায়, তা তাদের পড়াশুনায় প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা প্রায়ই সময় মোবাইল ব্যবহার করি, বিশেষ করে বিছানায় শয়নের সময় মোবাইল ব্যবহার করা বর্তমানে এক ধরণের নিষেশ হিসেবে পরিণত হয়ে গেছে। মোবাইল থেকে নির্গত রেডিয়েশন চোখের জন্য খুব ক্ষতিকর হতে পারে। পর্নোগ্রাফি দেখার আসক্ত আজকাল পরিমাণ অনেক ছাত্র ও ছাত্রী রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় তাদের চরিত্র ধীরে ধীরে ভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শ্রবণক্ষমতার ক্ষতির ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ভুমিকা দায়ী হতে পারে, এতে যেমন দীর্ঘ সময় কথা বলার কারণ বলে রয়েছে। মোবাইল থেকে বের হয়ে যাওয়া তীব্র ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক রশ্মি প্রবল প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে পুরুষদের শুক্রানুর পরিমাণ কমাতে। দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহারের কারণে মেনটাল হেল্থ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে; যার ফলে কেউ হঠাৎ কোন কথা বললে তার উপর খুব সহজেই রেগ হতে পারে। মোবাইল ব্যবহারে চিন্তাশক্তির ক্ষতি পাওয়া আর একটি বিপদ। চিন্তাশক্তির ক্ষতি হলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া বিস্তৃত কঠিন হয়ে প্রতিদিন একটি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক স্বাস্থয়ে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

শেষ কথা

এখন যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে, তারমধ্যে বর্তমান যুগে মানব জীবনে মোবাইল ফোনের ফলদানী ও হানিজনি, শিক্ষার ক্ষেত্রে মোবাইলের প্রয়োজনীয়তা, ইন্টারনেটের উপকার ও অপকার, সর্বোপরি বাংলাদেশে বিভিন্ন মোবাইল ফোনের দাম এবং কোন মোবাইল কোন মোবাইলের ভালো বা মন্দ তা সম্পর্কে যে আলোচনা হলো, সেগুলি মনে করি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি এই লেখা থেকে কিছু লাভ করতে পারেন, তাহলে আমার প্রয়াস সফল হবে। লেখাটি সতেরো ভূমিকা সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য আভিনন্দন। অন্যদের পক্ষে একই সুযোগ করে দিতে লেখাটি শেয়ার করে দিবেন। সুস্থ ও শান্ত থাকুন, পরিবারকে ভালবাসুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বেসিক ইনফো আইটিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url