বাংলাদেশের সেরা ঘোরার জায়গা ২০২৫

 নিচে ২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশের সেরা ঘোরার জায়গাগুলোর একটি বিস্তারিত তালিকা উপস্থাপন করা হলো, যেখানে প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সেরা সমন্বয় রয়েছে:



কক্সবাজার – “বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত”

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত। ১২০ কিমি দীর্ঘ এ সৈকতে এখন উন্নত বিচ-রোড, রিসোর্ট ও নিরাপদ পর্যটন সুবিধা রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য স্থান: ইনানি বীচ, হিমচরি, সার্ফিং, সামুদ্রিক হোটেল ও রান্না।

সুন্দরবন – “বাগের ঘোরার স্বপ্ন”

সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিস্তৃত।এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণসহ বহু বিরল প্রজাতির বাসস্থান।সুন্দরবনের প্রকৃতি জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সিলেট – “চা বাগান ও প্রকৃতি”

সিলেট বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অঞ্চল।এখানে চা বাগান, পাহাড় ও ঝরনা ছাড়াও আছে হজরত শাহ জালাল (রহ.)-এর মাজার।সিলেটের সংস্কৃতি, ভাষা ও প্রবাসী জনসংখ্যা একে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে।

বান্দরবন

বান্দরবন বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পাহাড়ি জেলা।এখানে আছে নীলগিরি, নাফাখুম ঝর্ণা, বগালেকসহ মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান।এটি পর্যটকদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য, যেখানে প্রকৃতি কথা বলে।

পাহাড়পুর

পাহাড়পুর বাংলাদেশের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার, যা সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত। এটি পাল রাজবংশের ধর্মপৃষ্ঠ রাজা ধর্মপাল কর্তৃক ৮ম শতকে নির্মিত হয়। ইউনেস্কো এটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দিয়েছে।

বাগেরহাটের মসজিদ নগর

বাগেরহাটের মসজিদ নগর (ঐতিহাসিক খলিফাতাবাদ) ১৫শ শতাব্দীতে খান জাহান আলী স্থাপন করেন, যেখানে প্রায় ৩৬০টি ইটের মসজিদ, সেতু, রাস্তা ও জলাধার একত্রে গড়ে ওঠে — যার মধ্যে ষাটগম্বুজ মসজিদ সবচেয়ে বিশিষ্ট।

সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ

সেন্ট মার্টিন্স বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপকূলে অবস্থিত।
দ্বীপটি স্বচ্ছ নীল জল, সাদা বালু এবং মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির জন্য বিখ্যাত।এটি পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গন্তব্য, বিশেষ করে শীতকালে।

জাফলং

জাফলং বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পর্যটন এলাকা।
এখানে পাহাড়, নদী এবং পাথর উত্তোলনের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।দূরদর্শী চা-বাগান ও মেঘে ঢাকা খাসিয়া পাহাড় এই জায়গার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তোলে।

কুয়াকাটা 

কুয়াকাটা বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত। এটি দেশের একমাত্র সৈকত, যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

 রাজধানীর ঐতিহাসিক স্থানসমূহ 

ঢাকার ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লালবাগ কেল্লা, যা মুগল আমলের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন। আহসান মঞ্জিল পুরাতন ঢাকার একটি জাঁকজমকপূর্ণ রাজপ্রাসাদ, বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, হোসেনি দালান শিয়া মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

ভ্রমণ পরামর্শ:

বাংলাদেশ ভ্রমণে বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই ছাতা ও জলরোধী জুতা সঙ্গে নেওয়া জরুরি। সোনার বাংলা নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় নদী এবং গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগের সুযোগ আছে। ঢাকা, সিলেট, সুন্দরবন ও সেন্টমার্টিনস দ্বীপ ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বেসিক ইনফো আইটিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url